প্যারাডক্সিক্যাল ভালোবাসা

মজিদ ও মিথি পার্কের বেঞ্চিতে বসে আছে। হাতিরঝিলের পর ঢাকা শহরে নান্দনিক স্থান এটিই। খুব বেশি দিন হয়নি পার্কটি হয়েছে। সামনেই ফুলের গাছের ওপর ফড়িং আর প্রজাপতি ওড়াউড়ি করতে দেখা যাচ্ছে। মজিদের মন ভালো থাকলে ফড়িংয়ের পশ্চাদ্দেশে সুতা দিয়ে গেরো লাগিয়ে দিত। ঘুড়ি আকাশে ওড়ার মতো ফড়িং আকাশে উড়ত; কিন্তু সুতার নাটাই থাকত মজিদের হাতে। কিংবা প্রজাপতি ধরে পাখা ডলাডলি করে হাতে পাখার রং মাখামাখি করত মজিদ। সেই রং দিয়ে চলত ফেস পেইন্টিং। এতে যে ফড়িং-প্রজাপতিকুলের নাভিশ্বাস উঠে যায়, এসব একটু কমই বোঝে সে। আজ মজিদ নিজেই কষ্টে আছে; তাই ফড়িং-প্রজাপতির আনন্দ! মানুষ আর আশপাশের মধ্যে আনন্দ-কষ্টের ভারসাম্য এভাবে রক্ষা হচ্ছে কি না কে জানে।

মজিদের মেজাজও ভালো নেই আজ। হঠাৎ একটি হাঁস প্যাঁকপ্যাঁক করে নিজের দিকে আসতে দেখে তার মনে হলো পশ্চাদ্দেশে কষে লাথি মেরে উড়িয়ে দেওয়া যাক। ভাগ্যিস, বিরল প্রজাতির হাঁসটি হাঁটার দিক পরিবর্তন করল। মজিদ-মিথির বছর দুয়েকের সংসার। ইতিমধ্যে গিরিঙ্গি বেধে গেছে। মিথি মজিদকে সন্দেহ করে। অফিসের কাজের চাপের কথা বলে মজিদ বাসায় দেরিতে ফেরে; খাবার টেবিলে সে অন্যমনস্ক হয়ে যায়; গল্প শোনায় আগ্রহ দেখায় না; সংসার নিয়ে কোনো আলোচনায় ভ্রুক্ষেপ নেই!

আধুনিক এ যুগে মানুষ যন্ত্রের মতোই কাজ করে সত্যি। কিন্তু মিথির মানসিক যন্ত্রণা তৈরি করেছে যে কারণে, তা হলো মজিদ একাকী এত ফুরফুরে মেজাজে থাকে কী করে! মিথির ধারণা, তাকে ঠকিয়ে মজিদ অন্য কারও সঙ্গে মেলামেশা করছে; অন্য কাউকে নিয়ে সুখের স্বপ্ন দেখছে। কখনোবা গুনগুন করে মজিদ আপনমনে গান গেয়ে ওঠে। মিথি চিত্কার করে উঠলে মজিদ জানায়, এটা তার থিম সং! মজিদের মতে, বিশ্বকাপের থিম সংয়ের মতো প্রত্যেক মানুষের একটা করে থিম সং থাকা উচিত। নিজস্ব একটা লোগোও থাকা উচিত! মিথি অবাক হয় এসব কথায়। বর্তমানের মজিদকে অন্য রকম লাগে তার। পরিবারের প্রতি উদাসীন; অথচ অন্য সব ক্ষেত্রে তার রসের কমতি নেই।

মিথির মন খারাপের সবচেয়ে বড় কারণ, মজিদের রাগারাগিটা শুধু তার সঙ্গেই। আগে মিথির সঙ্গে সে কখনোই খারাপ ব্যবহার করত না। ইদানীং ওর তৈরি খাবারও তার ভালো লাগে না। সেদিন তরকারি খেয়ে যাচ্ছেতাই ব্যবহার শুরু করল। বলল, ‘এটা কী রেঁধেছ? সল্টেজ বিস্কুটের মতো সল্টেজ তরকারি!’ মিথি শিক্ষিত মেয়ে হয়েও যে সংসার গুছিয়ে রাখার জন্য ঘরের কাজগুলো দেখেশুনে রাখছে, এটাই তো মজিদের জন্য অনেক বড় প্রাপ্তি। কোথায় ভালো ব্যবহার করবে, তা না করে এমন কুৎসিত আচরণ! এসব কারণেই মিথি আজ মজিদকে জোর করে পার্কে নিয়ে এসেছে। সম্পর্ক একদমই ভালো যাচ্ছে না—এটি মজিদ ঠিকমতো বুঝতে পারছে কি না, তা-ও সন্দেহ। একটা হেস্তনেস্ত করা দরকার। এভাবে আর কত দিন!

মজিদ কিছুক্ষণ আশপাশে তাকিয়ে বিরক্তি নিয়ে বলল, ‘ঘর থাকতে পার্কে কেন এলে?’

‘ঘরে এসব কথা বলা সম্ভব নয়। আমি আর তোমাকে নিয়ে পারছি না, মজিদ।’

‘কী পারছ না?’

‘কিছুদিন ধরে তোমার দুর্ব্যবহার আমাকে খুব পোড়াচ্ছে।’

‘আমার কিছু করার নেই মিথি। কারণ, একঘেয়ে কাজ করতে করতে আমি ভালো নেই। তার ওপর বাসায় এলেই তোমার একটার পর একটা কমপ্লেইন, নানা ঘ্যানঘ্যানানি আর ভালো লাগে না।’

‘সেগুলো তো বুঝিয়ে বললেই পারো। এমন খারাপ আচরণের কী দরকার?’

‘আমার ধৈর্য থাকে না। মাঝে মাঝে মনে হয়, আধুনিক অস্থির গতির পৃথিবীতে না হয়ে আমার জন্ম হওয়া উচিত ছিল শান্ত প্রাচীন পৃথিবীতে।’

‘আমার কী মনে হয় জানো?’

‘কী?’

‘তুমি আমার কাছে কিছু লুকাচ্ছ।’

মজিদ ক্লান্ত চোখে মিথির দিকে তাকাল। কোনো কথা বলে না। তাকে দেখে মনে হচ্ছে, আর সে কথা বলতে চায় না। এসব থেকে মুক্তি চায়। মিথি বলে, ‘তুমি আমার সঙ্গে যেমন আচরণ করো, খারাপেরও কোনো পর্যায়ে সেটা পড়ে না। আমি তোমাকে ‌ব্রেন অ্যানালাইজার সেন্টারে নিতে চাই।’

মিথির কথায় যে মজিদ আঁতকে ওঠে; সেটি মিথির দৃষ্টি এড়ায় না। মজিদের এভাবে আঁতকে ওঠার বিষয়টি তাকে আরও ভাবিয়ে তুলল এবং সে আগের চেয়েও চেপে বসল, ‘আমাদের সম্পর্ক যদি টিকিয়ে রাখতে চাও, তাহলে তোমাকে সেখানে যেতেই হবে।’

মজিদ অন্যমনস্ক। মিথি হাই তোলে। মজিদও হাই তোলে। মিথি বুঝতে পারে, মজিদ আসলে অন্যমনস্ক হওয়ার ভান করছে, কিন্তু আসলে তার খেয়াল মিথির দিকেই। কারণ, খেয়াল না করলে হাইয়ের পিঠে হাই তোলে না কেউ। মজিদের এমন চালাকি আর মৌনতা মিথিকে আরও জেদি করে তোলে। মজিদকে এখনই ব্রেন অ্যানালাইজার সেন্টারে যেতে হবে; তা না হলে ঘরে ফিরবে না মিথি।

দুই

ডা. শুভ রায় কফির মগ থেকে চুমুক দিয়ে কিছুটা কফি পান করলেন। তারপর মজিদ-মিথির দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘সত্যিই তাহলে ব্রেন অ্যানালাইজ করতে চাইছেন?’

মিথি কড়া সুরে বলে, ‘জি, অবশ্যই।’

‘দয়া করে আপনি কথা না বললেও চলবে। কারণ, যার ব্রেন অ্যানালাইজ করা হবে, তার সম্মতি লাগবে। কোনো জোরাজুরি আইনত নিষিদ্ধ।’ ডা. শুভ বললেন।

ডাক্তারের কথায় মিথির মুখে বিরক্তির ছাপ পড়ে। মজিদ বলে, ‘জি ডাক্তার, আমি আমার ব্রেন অ্যানালাইজ করতে চাইছি।’

‘বেশ। লিখিত সম্মতির ব্যাপার আছে। সেসব ব্যবস্থা আমি করছি। আর খরচটা বাইরের বিলিং সেন্টারে দিতে হবে। তবে এসবের আগে কিছু কথা বলে নেওয়া আমার কর্তব্য। হয়তো আপনারা জেনে এসেছেন; তারপরও জানানো আমার দায়িত্ব। ব্রেন অ্যানালাইজার মস্তিষ্কে সংরক্ষিত তাৎক্ষণিক ঘটনা, স্মৃতি, স্বপ্ন, চিন্তাসম্পর্কিত সব তথ্য নিষ্কাশন করে নেয়। একটি মাল্টিমিডিয়া প্লেয়ারের মাধ্যমে ঘরে বসেই আপনারা ঘটনাপ্রবাহ দেখতে পারবেন। এ–ও হয়তো জানেন, বছর তিনেক আগে যুগান্তকারী আবিষ্কার হয়েছে। সেই আবিষ্কারের ফলে ব্রেন অ্যানালাইজার দিয়ে চিন্তার জগৎও দৃশ্যমান হয়। কল্পনাগুলো দৃশ্যায়িত হয় ডিসপ্লে স্ক্রিনের নিচের অর্ধেক অংশে। অর্থাৎ মাল্টিমিডিয়া ডিসপ্লে স্ক্রিনে আপনারা একই সঙ্গে দুটো দৃশ্য দেখতে পাবেন। ওপরের অংশে দেখবেন বাস্তবিক জগতের সঙ্গে ব্রেনের যে ইন্টার৵াকশন হয়, সেসব। আর নিচের অংশে দৃশ্যায়িত হবে ওই একই সময়ে ব্যক্তি যা চিন্তাভাবনা করেন, সেসব। দুই অংশ নিলে খরচ স্বাভাবিকভাবে দ্বিগুণ পড়বে। এ ছাড়া দিন বা বছরের সংখ্যা অনুযায়ী বাড়বে খরচের পরিমাণ।’

মিথির ইচ্ছায় বললেই ভালো হতো; যাহোক, মজিদের সম্মতিতে তার মস্তিষ্কের বিগত দুই বছরের সমস্ত ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও চিন্তা-ভাবনা অর্থাৎ দুটি অংশই ব্রেন অ্যানালাইজারের মাধ্যমে তুলে আনার প্রাথমিক ব্যবস্থা সম্পন্ন হলো। মানিব্যাগ থেকে টাকা বের করতে গিয়ে মজিদের আত্মা কেঁপে ওঠে! এক ধাক্কায় মানিব্যাগ প্রায় শূন্য বলা চলে!

অসংখ্য তার ও নোডসংবলিত হেলমেট আকৃতির একটি কাঠামো মজিদের মাথায় পরানো হয়। তাঁকে স্বাভাবিক থাকতে বলা হয়। কিছুটা ভয় ভয় লাগে মজিদের। তবে সব মিলিয়ে পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে কয়েক মিনিটের বেশি লাগল না। এত অল্প সময়ের একটি প্রক্রিয়ার জন্য কষ্টের এতগুলো টাকা খসে গেল, বিষয়টি খুব পীড়া দেয় মজিদকে।

তিন

মজিদ ও মিথি নিজেদের বাসায় মাল্টিমিডিয়া ডিসপ্লে স্ক্রিনের সামনে বসে আছে। ওপরের অংশে দেখা যাচ্ছে, দুই বছর আগে সম্পন্ন হওয়া তাদের বিয়ের দৃশ্য। রঙিন দৃশ্যগুলোতে সবার কথাও শোনা যাচ্ছে; তবে সব দেখা বা শোনা যাচ্ছে মজিদ যেভাবে দৃশ্য দেখেছে বা শুনেছে, সেইভাবে। যখন বিয়ের স্টেজে বসে আছে মজিদ আর মিথি, তখন নিচের অংশে দেখা যাচ্ছে মজিদের কল্পনা। সে সময় শারীরিকভাবে বিয়ের স্টেজে থাকলেও সে ভাবছিল অন্য কিছু। দৃশ্যটি দেখে মিথি মজিদের দিকে বিরক্তি নিয়ে তাকিয়ে বলে, ‘আশ্চর্য, বিয়ের স্টেজে বসে পরীক্ষার হলের দৃশ্য কল্পনা করছিলে তুমি!’ মজিদ কোনো কথা বলল না; কারণ মিথিরও মনে থাকার কথা যে মজিদের ফাইনাল পরীক্ষার দুই দিন আগে মিথির পীড়াপীড়িতেই বিয়ের পিঁড়িতে তাকে বসতে হয়েছিল।

দুই বছরের বাস্তবতা আর কল্পনার অংশের পুরোটা দেখতে চাইলে পাকা দুই বছর লেগে যাবে! তাই মিথি ফাস্ট ফরোয়ার্ড করে দুই মাস আগের ভিডিও দৃশ্যে চলে এল। কারণ, মাস দুয়েক হলো মজিদকে তার অসহ্য লাগছে। মে মাসের ৬ তারিখে মজিদ প্রথম মিথিকে জোরেশোরে ধমক দিয়েছে। তাই মে মাসের প্রথম থেকে দৃশ্যগুলো টেনেটুনে দেখতে থাকল মিথি। ৫ তারিখের একটি দৃশ্য দেখে সেখানে থামে মিথি। দেখল, মজিদ একা অফিসের টয়লেটে বসে কাঁদছে! টয়লেটে মানুষ যায় টয়লেট সারতে, কাঁদতে না। ঘটনার সূত্রপাত দেখার জন্য কিছুটা রিওয়াইন্ড করে মিথি। দেখে, মজিদ তার বসের রুমে। বস মজিদের দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘দেখুন, কোম্পানির লোকসান অব্যাহতভাবে হতে থাকায় আমরা আপনাকে আর রাখতে পারছি না।’

মজিদ বলল, ‘কী বলছেন, বস! আমার স্ত্রী সন্তানসম্ভবা। এ মুহূর্তে চাকরিটা আমার খুব দরকার।’

বস হঠাৎ রেগে যান। বলেন, ‘আমি তো সারা জীবন লোকসান গুনতে পারব না!’

মজিদ চুপ করে থাকে। বস বললেন, ‘দুঃখিত, খারাপ ব্যবহার করা আসলে আমার উচিত হয়নি। কিন্তু কী করব বলেন? কোম্পানির কোনো আয় নেই। নিজেই পরের মাসে কীভাবে চলব, সেই টেনশনে আছি। তাই শুধু আপনার কাছে নয়; একে একে সবার কাছেই আমার ক্ষমা চাইতে হবে। আমাকে জেলে ভরলেও কিছু করার নেই; বরং জেলে গেলে খেয়েপরে বেঁচে যাব এ–যাত্রায়।’

মজিদ বসের রুম থেকে বেরিয়ে টয়লেটে যায় এবং সেখানে বসে কাঁদে। ভিডিওর ওপরের অংশে এসব দেখা যায়। নিচের অংশে দৃশ্যায়িত হচ্ছে মজিদের চিন্তামালা। কান্নার মুহূর্তে মজিদ কী চিন্তা করছিল, সেটির দিকে চোখ পড়তেই মিথি হাঁ হয়ে গেল। কল্পনার অংশের ভলিউম অ্যাকটিভ করতেই মিথি শুনতে পেল, মজিদ টয়লেটে বসে কাঁদছে আর মনে মনে বলছে, ‘এখন মিথিকে বলা যাবে না এই দুঃসংবাদ। ওকে কোনো দুশ্চিন্তা দেওয়া যাবে না। ওর পেটে আমাদের বাবু। দরকার হলে নিজের রক্ত বিক্রি করে আমি সংসার চালাব, কিন্তু ওকে টেনশন দেব না।’

ঘটনাপ্রবাহ আরেকটু এগিয়ে মিথি দেখে, মজিদ বিভিন্ন বাসায় টিউশনি করছে। তার মানে সে টাকা আয় করছে টিউশনি করে। মিথি আরও দেখে, টাকা বাঁচানোর জন্য হেঁটে হেঁটে সে একেকটা বাসায় যায়। এক বাসায় টিউশনি শেষ করার পর ক্লান্ত দেহে আরেক বাসায় যায়। আর কল্পনার অংশে দেখা যাচ্ছে, মজিদ কখনো অনাগত বাবুকে নিয়ে পার্কে খেলা করছে, কখনো তাকে কাঁধে তুলে সৈকতে ঘুরে বেড়াচ্ছে, কখনোবা মিথিকে ভালোবেসে কাছে টানছে। মনে মনে বাবুর অপূর্ব অবয়ব এঁকেছে মজিদ! সেটিই দেখা যাচ্ছে ডিসপ্লে স্ক্রিনের নিচের অংশে। মিথি অনুভব করতে পারছে, তার সঙ্গে মজিদের রাগারাগিটা অন্তরের বিতৃষ্ণা থেকে নয়। সারা দিন পরিশ্রম শেষে আর চাপ নিতে পারে না বেচারা। তাই মজিদ রেগে যায়। মজিদ একা একা গান গেয়ে নিজেকে কিছুটা চাপমুক্ত রাখার চেষ্টা করে—এটাও মিথির বুঝতে বাকি নেই।

মিথি চোখের পানি আটকে রাখতে পারে না। ফুঁপিয়ে কাঁদতে কাঁদতে বলে, ‘তুমি অনুভূতি প্রকাশে একদম আমার মতো নও। কেন আমাকে এসব বলোনি?’ মজিদ কিছুই বলে না। মিথিই আবার কথা বলে উঠল, ‘তুমি আমার মতো নও; কিন্তু আমার শূন্যতাগুলো পূরণের জন্য তুমিই পারফেক্ট। খুব ভালোবাসি তোমাকে।’

মজিদ এবারও কোনো কথা বলে না। কিন্তু তার কল্পনার অংশ থেমে নেই। কল্পনায় সে ভাবছে, মাসজুড়ে কষ্ট করে আয় করা টাকাগুলো এভাবে খরচ হয়ে গেল! এখন মাস চলবে কীভাবে? এসব নিয়ে মজিদের বেশ দুশ্চিন্তা শুরু হয়েছে। অবশ্য কিছুক্ষণ বাদে মিথির ভালোবাসায় মজিদের দুশ্চিন্তা মিলিয়ে গেল। ওর মনে হয়, ভালোবাসার মতো প্যারাডক্স নেই—যন্ত্রণা বাড়ায়; আবার যন্ত্রণা কমায়!