প্রতিদিন বিজ্ঞানের জগতে ঘটছে নানা ঘটনা। প্রতিমুহূর্তে এগোচ্ছে পৃথিবী, বদলে যাচ্ছে অনেক কিছু। প্রকাশিত হচ্ছে নতুন গবেষণাপত্র, জানা যাচ্ছে নতুন গবেষণার কথা। যেমন, মঙ্গল গ্রহে মিলেছে রহস্যময় পাথর। উল্কার আঘাতে তৈরি সবচেয়ে বড় গর্ত পাওয়া গেছে চীনে। আরবি কবিতা থেকে পাওয়া গেছে সুপারনোভার সন্ধান। আবার সাগরের তিমিদের কথা বলার রহস্য উন্মোচন করেছেন বিজ্ঞানীরা। পিঁপড়ারা কেন রানিকে মেরে ফেলে, তাও জানা গেছে সম্প্রতি। জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ নাকি মহাবিশ্বের প্রথম নক্ষত্রের ছবি তুলেছে। এরকম আরও নানা বিষয়, নানা ঘটনা দেখে নিন একনজরে, জেনে নিন সংক্ষেপে।
পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে মঙ্গল গ্রহে ঘুরে বেড়াচ্ছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার পারসিভারেন্স রোভার। নিঃসঙ্গ এই রোভার পাঁচ বছরের একটা বাচ্চার মতো নতুন পাথর দেখে থমকে দাড়িয়েছিল। আর তা দেখে বিজ্ঞানীরা রীতিমতো ধন্দায় পড়ে গেছেন। পাথরটা দেখে মনে হচ্ছে, ওটা আসলে মঙ্গলের পাথর নয়! পাথরটির নাম দেওয়া হয়েছে ফিপসাকসলা। মঙ্গলের জেজেরো কার্টারের এক কোণায় পাথরটির খোঁজ মিলেছে।
আরও বিস্তারিত জানতে পড়ুন:
সম্প্রতি জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ মহাবিশ্বের সবচেয়ে প্রথম নক্ষত্রগুলোর সন্ধান পেয়েছে বলে দাবি করেছে। বিগ ব্যাং বা মহাবিস্ফোরণের পর যখন মহাবিশ্ব ঘুটঘুটে অন্ধকার ছিল, তখন প্রথম যে নক্ষত্রের জন্ম হয়, সেই নক্ষত্রের আলো নাকি ধরা দিয়েছে টেলিস্কোপে! চলতি বছর অক্টোবরে দ্য অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল জার্নাল লেটার্স জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণাটি বেশ আলোড়ন ফেলেছে বৈজ্ঞানিক মহলে।
আরও বিস্তারিত জানতে পড়ুন:
সাগরের নিচে তিমিরা যে গান গায় বা অদ্ভুত শব্দ করে, তা আমরা অনেক আগে থেকেই জানি। কিন্তু সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা যা আবিষ্কার করেছেন, তা চোখ কপালে ওঠার মতো। স্পার্ম হোয়েলরা নাকি মানুষের মতোই স্বরবর্ণ বা ভাওয়েল ব্যবহার করে কথা বলে! ক্যারিবিয়ান সাগরে একদল গবেষক স্পার্ম তিমিদের নিয়ে গবেষণা করছিলেন। স্পার্ম তিমিরা, বিশেষ করে স্ত্রী তিমিরা একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করার সময় একধরনের ক্লিক-ক্লিক শব্দ করে। বিজ্ঞানীরা এই শব্দগুচ্ছের নাম দিয়েছেন ‘কোডা’।
আরও বিস্তারিত জানতে পড়ুন:
সময়ের আগে জন্ম থামানো যায় না। কিন্তু জীবনটাকে একটু বাড়িয়ে দেওয়া কি সম্ভব? বিজ্ঞানীরা বহু বছর ধরে সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন। শিশুটি যেন পৃথিবীতে এসেও কিছুদিন মায়ের গর্ভের মতো নিরাপদ পরিবেশ পায়, এই ভাবনা থেকেই এসেছে অ্যাকুয়া উম্বের মতো একটি যন্ত্র।
২০১৭ সালে ফিলাডেলফিয়ার গবেষকেরা পরীক্ষামূলকভাবে এমন কৃত্রিম গর্ভের কথা বলেন। মায়ের শরীরের বাইরে ভ্রূণের মতো প্লাস্টিকের স্বচ্ছ ব্যাগে শিশু ভেসে বেড়াচ্ছে, এমন দৃশ্যই তখন আলোচনায় আসে। চোখ বন্ধ, হৃদস্পন্দন চলছে; দেখলে মনে হয় ঠিক মায়ের গর্ভেই আছে।
আরও বিস্তারিত জানতে পড়ুন:
চীনের মহাকাশ গবেষকেরা এক অদ্ভুত প্রকল্প নিয়ে কাজ করছেন। তাঁরা প্রথমবারের মতো চারটি জীবিত ইঁদুর টানা চৌদ্দ দিন মহাকাশ স্টেশনে রেখে দিয়েছেন। ইঁদুরগুলো এরই মধ্যে মহাকাশ স্টেশনে টানা দুই সপ্তাহ কাটিয়ে সুস্থভাবে ফিরে এসেছে পৃথিবীতে। শেনঝো-২১ মহাকাশযানে করে ইঁদুরগুলো তিয়ানগং মহাকাশ স্টেশনে গিয়েছিল। ইঁদুরগুলো ফিরে এসেছে শেনঝো-২০ ক্রুদের সঙ্গে।
আরও বিস্তারিত জানতে পড়ুন:
আধুনিক পৃথিবীর বুকে খুঁজে পাওয়া সবচেয়ে বড় ক্রেটার হচ্ছে জিনলিন ক্রেটার ! ভাবতে পারেন, বারবার কেন ‘আধুনিক’ শব্দটা ব্যবহার করছি। ভূতত্ত্বের ভাষায় আধুনিক মানে গতকাল বা গত বছরের ঘটনা নয়। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই গর্তটি তৈরি হয়েছে হোলোসিন যুগে। অর্থাৎ, শেষ বরফ যুগ শেষ হওয়ার পর, মোটামুটি গত ১১ হাজার ৭০০ বছরের মধ্যে কোনো এক সময়ে। পৃথিবীর কোটি কোটি বছরের ইতিহাসের তুলনায় এই সময়টা কমই। তাই একে বলা হচ্ছে আধুনিক সবচেয়ে বড় গর্ত।
আরও বিস্তারিত জানতে পড়ুন:
ফিজকোমিট্রেলা প্যাটেন্স আমাদের পরিচিত এক ধরনের মস। সাধারণত কাদা বা পরিত্যক্ত জমিতে এই মস জন্মায়। এবার গবেষকেরা দেখেছেন, এই মসের স্পোর আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের বাইরের অংশে আটকে থেকে কমপক্ষে নয় মাস বেঁচে থাকতে পারে। পৃথিবীতে ফিরে এসে নতুন করে জন্মাতেও পারে।
আরও বিস্তারিত জানতে পড়ুন:
সম্প্রতি জার্মানির জেনা ইউনিভার্সিটির গবেষকেরা মধ্যযুগের আরবি কবিতা আর ইতিহাস ঘেঁটে খুঁজে পেয়েছেন হারিয়ে যাওয়া এক সুপারনোভার ঠিকানা!
সুপারনোভা হলো বিশাল কোনো নক্ষত্রের মৃত্যুর সময়কার এক প্রচণ্ড বিস্ফোরণ। সূর্যের চেয়ে অন্তত পাঁচ থেকে আট গুণ বা তার বেশি ভরের নক্ষত্র জীবনচক্রের শেষ পর্যায়ে সুপারনোভায় পরিণত হয়। মূলত মহাকর্ষের প্রচণ্ড চাপের কারণে ঘটে সুপারনোভা বিস্ফোরণ। এই বিস্ফোরণের আলো এতই তীব্র হয় যে, দিনের আলোতেও তা দেখা যেতে পারে।
আরও বিস্তারিত জানতে পড়ুন:
ওয়েন কোলম্ব নামে আয়ারল্যান্ডের এক লোকের জীবন থমকে গিয়েছিল ১৯৯৩ সালে। মাত্র ২১ বছর বয়সে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় তিনি একটি খাদে পড়ে গিয়েছিলেন। দুর্ঘটনায় মেরুদণ্ডের একটি হাড় ভেঙে যায় তাঁর। তিনি স্থায়ীভাবে পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়েন। হাতের বাইসেপস ছাড়া শরীরের কোনো অংশ তিনি নাড়াতে পারতেন না। হাত তুলতে পারলেও নামানোর সক্ষমতা ছিল না। হাত নামানোর জন্য কাঁধ ঘুরিয়ে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির সাহায্য নিতে হতো। দীর্ঘদিন হাসপাতালে থাকার পর তিনি আয়ারল্যান্ডের রাজধানী ডাবলিনে বাসায় ফেরেন। বাসায় ফিরে বিভিন্ন ফাউন্ডেশনের কাজে যুক্ত হন। প্রতিবন্ধী মানুষের অধিকার নিয়ে কাজ শুরু করেন।
আরও বিস্তারিত জানতে পড়ুন:
জীববিজ্ঞানী ই.ও. উইলসনের মতে, পিঁপড়ারা পৃথিবীর সবচেয়ে যুদ্ধবাজ প্রাণী। এদের দুই দলের মারামারির কাছে মানুষের বড় বড় যুদ্ধও নাকি নস্যি! কিন্তু সবসময় কি গায়ের জোরেই রাজ্য জয় করা যায়? না। মাঝেমধ্যে দরকার হয় ছলনা, আর ঠান্ডা মাথার গোয়েন্দাগিরি। সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা এক অদ্ভুত ও লোমহর্ষক ঘটনার সাক্ষী হয়েছেন। তাঁরা দেখেছেন, একদল পিঁপড়া তাদের নিজেদের পরম আদরের রানিকে মেরে ফেলছে! অথচ এই রানিই কিন্তু ওদের জন্মদাত্রী মা। মজার ব্যাপার হলো, এই হত্যাকাণ্ডের কলকাঠি নাড়ছে বাইরের এক অনুপ্রবেশকারী।
আরও বিস্তারিত জানতে পড়ুন: